জনসংখ্যা ও ভূখণ্ডের আয়তনের বিচারে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে কেপ ভের্দে। বাছাই পর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে এস্বাতিনিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড কাপের মূল পর্বের টিকেট পায় দেশটি।
এর আগে, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের অধীনে ছিল তারা। স্বাধীনতা পাওয়ার পরে প্রথম ২০০২ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে পৌঁছয় কেপ ভের্দে।
২০১৩ এবং ২০২৩ সালে আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস কোয়ার্টার ফাইনালেও চলে গিয়েছিল দেশটি। এবার আল্টিমেট পুরস্কার হিসেবে দলটি যোগ্যতা অর্জন করেছে ওয়ার্ল্ড কাপের মূল পর্বে খেলার।
দলটির এমন সাফল্যর পেছনে রয়েছেন একজন তারকা প্লেয়ার। পিকো লোপেস! তার গল্প অনেকটা রূপকথার মতো। ৩৩ বছর বয়সী লোপেসের ক্যারিয়ারে নতুন এবং অদ্ভুত মোড় আসে।
২০১৭ সালে রোভার্সে যোগ দেয়ার আগে, এক সময় আয়ারল্যান্ড আন্ডার-১৯ জাতীয় দলে খেলতেন তিনি এবং সাথে ব্যাংকে মর্টগেজ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। এরপর থেকে তিনি পূর্ণকালীন ফুটবলার হয়েছেন, চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন, ইউরোপেও খেলে দেখেছেন এবং সর্বোপরি আন্তর্জাতিক অভিষেক লাভ করেছেন।
লোপেস ডাবলিনে জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন। তার মা আয়রিশ। অন্যদিকে, বাবা কেপ ভের্দিয়ান। সেই হিসেবে তার খেলার কথা আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলে। তবে, ঘটনা পুরো পাল্টে যায় ২০১৯ সালে।
তিনি ২০১৯ সালের অক্টোবর টোগোর বিরুদ্ধে ২-১ বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেপ ভের্দের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন।
তবে, এটি হয়তো সম্ভবই হতো না, যদি তিনি তখনকার কেপ ভের্দে ম্যানেজার রুই আগুয়াসের লিঙ্কডইনে প্রেরিত বার্তার উত্তর না দিতেন। সেই মেসেজের উত্তর দিয়েই পেয়ে যান কেপ ভের্দে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ। এরপর লোপেসকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লোপেস বলেন, ‘আমি খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। এমন এলাকায় বড় হয়েছি যেখানে অনেক প্রাঙ্ক কল হত, তাই হয়তো অতিরিক্ত সতর্ক ছিলাম। তবে অহংকার ত্যাগ করে আমি সময়মতো সেই মেসেজের উত্তর দেই এবং সৌভাগ্যক্রমে আমাকে দলে নেয়া হয়।’
প্রাথমিক যোগাযোগের প্রায় এক মাস পর যখন লোপেস দলে যোগ দিতে যান, তখন তার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল যোগাযোগের সমস্যা। কেপ ভের্দে দলে প্রধান ভাষা হলো পর্তুগিজ ও কেপ ভের্দিয়ান ক্রিওল ভাষা, যা তিনি জানতেন না।
তিনি জানান, ‘আমি চিন্তিত ছিলাম, কিন্তু যখন সেখানে পৌঁছাই; সবাই খুবই সহায়ক ছিল। যারা ইংরেজি জানত তারা ইংরেজিতেই কথা বলত এবং যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করতো।’
উল্লেখ্য, পিকো লোপেস শ্যামরক রোভার্সকে আয়ারল্যান্ডের লিগে ছয় মৌসুমে মোট পাঁচটি শিরোপা এবং ২০১৯ সালের পর প্রথম আইরিশ লিগে কাপ জেতাতে নেতৃত্ব দেন। সূত্র: স্কাই নিউজ।
এর আগে, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের অধীনে ছিল তারা। স্বাধীনতা পাওয়ার পরে প্রথম ২০০২ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে পৌঁছয় কেপ ভের্দে।
২০১৩ এবং ২০২৩ সালে আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস কোয়ার্টার ফাইনালেও চলে গিয়েছিল দেশটি। এবার আল্টিমেট পুরস্কার হিসেবে দলটি যোগ্যতা অর্জন করেছে ওয়ার্ল্ড কাপের মূল পর্বে খেলার।
দলটির এমন সাফল্যর পেছনে রয়েছেন একজন তারকা প্লেয়ার। পিকো লোপেস! তার গল্প অনেকটা রূপকথার মতো। ৩৩ বছর বয়সী লোপেসের ক্যারিয়ারে নতুন এবং অদ্ভুত মোড় আসে।
২০১৭ সালে রোভার্সে যোগ দেয়ার আগে, এক সময় আয়ারল্যান্ড আন্ডার-১৯ জাতীয় দলে খেলতেন তিনি এবং সাথে ব্যাংকে মর্টগেজ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। এরপর থেকে তিনি পূর্ণকালীন ফুটবলার হয়েছেন, চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন, ইউরোপেও খেলে দেখেছেন এবং সর্বোপরি আন্তর্জাতিক অভিষেক লাভ করেছেন।
লোপেস ডাবলিনে জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন। তার মা আয়রিশ। অন্যদিকে, বাবা কেপ ভের্দিয়ান। সেই হিসেবে তার খেলার কথা আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলে। তবে, ঘটনা পুরো পাল্টে যায় ২০১৯ সালে।
তিনি ২০১৯ সালের অক্টোবর টোগোর বিরুদ্ধে ২-১ বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেপ ভের্দের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন।
তবে, এটি হয়তো সম্ভবই হতো না, যদি তিনি তখনকার কেপ ভের্দে ম্যানেজার রুই আগুয়াসের লিঙ্কডইনে প্রেরিত বার্তার উত্তর না দিতেন। সেই মেসেজের উত্তর দিয়েই পেয়ে যান কেপ ভের্দে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ। এরপর লোপেসকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লোপেস বলেন, ‘আমি খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। এমন এলাকায় বড় হয়েছি যেখানে অনেক প্রাঙ্ক কল হত, তাই হয়তো অতিরিক্ত সতর্ক ছিলাম। তবে অহংকার ত্যাগ করে আমি সময়মতো সেই মেসেজের উত্তর দেই এবং সৌভাগ্যক্রমে আমাকে দলে নেয়া হয়।’
প্রাথমিক যোগাযোগের প্রায় এক মাস পর যখন লোপেস দলে যোগ দিতে যান, তখন তার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল যোগাযোগের সমস্যা। কেপ ভের্দে দলে প্রধান ভাষা হলো পর্তুগিজ ও কেপ ভের্দিয়ান ক্রিওল ভাষা, যা তিনি জানতেন না।
তিনি জানান, ‘আমি চিন্তিত ছিলাম, কিন্তু যখন সেখানে পৌঁছাই; সবাই খুবই সহায়ক ছিল। যারা ইংরেজি জানত তারা ইংরেজিতেই কথা বলত এবং যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করতো।’
উল্লেখ্য, পিকো লোপেস শ্যামরক রোভার্সকে আয়ারল্যান্ডের লিগে ছয় মৌসুমে মোট পাঁচটি শিরোপা এবং ২০১৯ সালের পর প্রথম আইরিশ লিগে কাপ জেতাতে নেতৃত্ব দেন। সূত্র: স্কাই নিউজ।